Ultimate Oscillator
Larry Williams ১৯৮৫ সালে প্রথমবার “Technical Analysis of Stocks and Commodities” ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আর্টিকেলে ultimate oscillator সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। Ultimate Oscillator হচ্ছে একটি সূচকের মধ্যে একটি শেয়ারের তিনটি ভিন্ন সময়ের মূল্য পরিবর্তনের (price action) বর্তমান। এর মান ০ হতে ১০০ পর্যন্ত এবং এর মধ্যবর্তী হচ্ছে ৫০। oversold এর স্থল ৩০ এর নিচে এবং overbought এর স্থল ৭০ হতে ১০০ পর্যন্ত বিস্তৃত। Ultimate Oscillator তিনটি time frame ব্যবহার করে এবং ব্যবহারকারীরা এটিকে সুনির্দিষ্টভাবে সাজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ৭ দিনের, ১৪ দিনের এবং ২৮ দিনের মান ব্যবহৃত হয়। লক্ষ্য করুন, এই সময়গুলো একইসূত্রে গাথা এর মানে হলো ২৮ দিনের time frame এ ১৪ দিন ও ৭ দিন time frame উভয়ই অন্তর্ভূক্ত। স্বল্প সময়ের পরিবর্তন (action) তিনটি পিরিয়ওডের ক্যালকুলেশনের অন্তর্ভূক্ত এবং এটি ফলাফলের উপর সুন্দর প্রভাব ফেলে। সাধারণত আমরা তিনটি ধাপ অনুসরণ করে ক্রয় সিগন্যাল পেতে পারি। ১. bullish divergence সংগঠিত হবে ইনডিকেটরটি এবং শেয়ারটির দামের মাঝে। তার অর্থ হচ্ছে Lower Low সংগঠিত হয়। ২. bullish divergence টি ৩০ লাইনের এর নিচে থাকবে এবং একটি Higher Low সংগঠিত হবে। ৩. oscillator টি bullish divergence এর ওপরে উঠে যাবে। চিত্রে দেখুন একটি Bullish Divergence দেখা যাচ্ছে এবং Lower Low সংগঠিত হয়েছে। অন্য দিকে Ultimate Oscillator ও Higher Low সংগঠিত হয়েছে। যখনই ultimate Oschillator ইনডিকেটরটি ৫০ লাইন অতিক্রম করেছে তখন থেকেই শেয়ারটির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছিল। ফলে দেখা যাচ্ছে আমাদের পূর্বের বর্ণিত তিনটি ধাপ খুবই গুরুত্বপূরণ এবং এই ধাপ গুলো ভাল ভাবে বুঝতে হবে এবং এর ব্যাবহারিক প্রয়োগ করতে হবে। এইভাবে আমরা Ultimate Oscillator টি ব্যাবহার করে Buy সিগন্যাল পেতে পারি। আগামীকালের সংখ্যায় আমরা বিক্রয় সিগন্যাল নিয়ে আলোচনা করবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন