রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ABCD pattern

Formation Pattern for long and short opportunities
known to many traders as the ABCD pattern

The formation pattern is a technical pattern. It sets up by identifying an intermediate high or low. In a uptrend a line is drawn from the intermediate point low to the next high then to the next price correction low. From that second low point a price target or goal is outlined on the chart. The opposite occurs in short candidates. See the charts below:
 ABCD pattern
 

The Butterfly Pattern can be bullish or bearish

 


The Bullish Butterfly Pattern contains a bullish ABCD pattern preceded by a significant low (the X). Fibonacci extension ratios converge at point D. Point D is the Fibonacci extension of BC and XA. The swing from A to D is a 127.2% or 161.8% extension of XA. Note: D must be below X. Sounds confusing? Not really, after a short period of time, a trader can glance at a chart and quickly spot a Bullish Butterfly. The diagram below explains this pattern. Also see the Membership Info page for additional trades using this pattern
 The Gartley Pattern can be bullish or bearish
for long or short trades
The Bullish Gartley is geometric in shape and comprises four consecutive price swings. It contains a bearish ABCD preceded by a significant low (X). This pattern identifies potentially higher probability buying opportunities in any market and any time frame. See the diagram below and the Membership Info page for examples of actual trades with this pattern.
 

Pattern of “diamond”

The pattern of “diamond” is a reversal pattern and is formed on the bottom or the top of the trend. Although exceptions to the breakdown of the trend lines are the same!

It should also be noted that in fact the figure of “Brilliant” is formed in those moments when the price just does not “know” where to go further and is a 2 in this joint triangle: expanding (expands formation) and the usual - a symmetrical triangle, and hence boundaries of the diamond are the lines of the triangle.

That’s why we in fact can not be aware that these figures are formed, but knowing the patterns of trade in the forex chart patterns, to enter the market correctly and make a profit.

The opening of trading positions to buy:

Trade within the pattern, “Brilliant” is not desirable and not recommended!

Therefore, we will sell it on the breakdown of the trend lines formed by the pattern.

An example of a pattern “Brilliant” or “Diamond” on GBPUSD (H1):

Pattern of "Brilliant" in GBPUSD (H1)

1) Conclude a deal on one of the following:

a) on the breakdown of the trend line (or better even after closing the candle above the trend line, which price breaks).

b) above the highest point of the diamond

s) above the top of the latest formations

d) to retest a broken line pattern Brilliant

But I would like to recommend the opening of transactions is (a) and (g)!

2) Stop-loss set at least the last diamond pattern or a minimum of generally very graphic shapes.

3) Take-profit set to a distance equal to the height of the figure “Brilliant” deferred from the point of breakdown formation or partially close the transaction on the same level as the rest position of the swap at breakeven.

4) Of course I recommend to consider when signing a deal appropriateness of its opening, as if it does not satisfy the rules of Money Management, then such transactions are better omitted.

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১২

Parabolic SAR with RSI and Stochastic


প্রথমে জানা যাক Parabolic SAR ইন্ডিকেটরটি কি । Parabolic SAR ইন্ডিকেটর হচ্ছে এমন একটি Indicator যেটা assets এর Momenterm নির্দেশ করে এবং যখন Momenterm এর দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে । অর্থাৎ upward অথবা dwonword এ যাবার সম্ভাবনা। নিন্মের একটি চার্টে Parabolic SAR ইন্ডিকেটর , RSI এবং Stochastics oscillator যুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা জানি যখন RSI এবং Stochastics তাদের oversold স্থল ত্যাগ করা শুরু করে তখন তা buy সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে এবং যখন RSI এবং Stochastics তাদের overbought স্থল ত্যাগ করা শুরু করে তখন তা buy সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে।এখানে আমরা HR Textile এর একটি উদাহরন দিচ্ছি । ০৩-০৩-২০১১ তারিখে একটি buy সিগন্যাল দেখা গেছে। তারও আগে যদি আমরা ভাল মত লক্ষ করা হয় তবে দেখা যাবে RSI এবং Stochastics oscillator OverSold অবস্থায় ছিল এবং buy সিগন্যাল দিচ্ছিল । এই তিনটি ইন্ডিকেটরে buy সিগন্যাল পরপর সংঘটিত হয়েছে এবং এটি একটি ভাল ট্রেড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আবার ০৩.০৪.২০১১ তারিখে আবার দেখা যায় RSI এবং Stochastics oscillator Overbought অবস্থায় ছিল এবং Parabolic SAR ও Downtrend এ ছিল। যদি এই তিনটি Indicators এক সাথে ব্যাবহার করা হয় তবে পরিষ্কার sell Signal পাওয়া যায়। আবার যদি May মাসের দিকে লক্ষ করা হয় তবে আবার ও RSI এবং Stochastics oscillator Oversold অবস্থায় দেখতে পাওয়া এবং আবার Buy সিগন্যাল পাওয়া যায়।

The Rate-of-Change (ROC)


The Rate-of-Change (ROC) ইনডিকেটরটি সাধারণত একটি মোমেনটার্ম এবং অনেক সময় এই ইনডিকেটরকে একটি বিশুদ্ধ momentum oscillator ও বলা হয়। সাধারণত এই ইনডিকেটরটি একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে আরেকটি সময় পর্যন্ত দামের পরিবর্তনের হার নির্ণয় করে থাকে। যখন দামের পরিবর্তন হয় তখন Rate-of-Change ইনডিকেটরটি জিরো লাইনের এর ওপরে এবং নিচে ওঠানামা করে। যেহেতু Rate-of-Change একটি মোমেনটার্ম তাই এর সিগনাল গুলো অন্যান্য মোমেনটার্মের মতই হয়ে থাকে যেমন center line crossovers, divergences and overbought-oversold। এই পরিবর্তনের হার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে সেইগুলো হচ্ছে আপ ট্রেন্ড, ডাউন ট্রেন্ড এবং সাইডওয়ে। সাধারণত একটি আপট্রেন্ড গঠিত হয় যখন কতগুলো higher highs এবং higher lows থাকে এবং দাম ও জিকজ্যাক করে আপট্রেন্ড অনুসরণ করে । এবং Pullback হয় যখন একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর percentage move করে এবং ডাউন ট্রেন্ড গঠিত হয় যখন lows and lower highs এবং দাম ও জিকজ্যাক করে ডাউন ট্রেন্ড অনুসরণ করে.

Good Trade


সাধারণত আমরা একটি ভাল ট্রেড বলতে কি বুঝি অথবা ভাল ট্রেড আমরা কিভাবে চিনহিত করতে পারি? অনেক বিনিয়োগকারীর এমন প্রশ্ন রয়েছে। আমরা জানি অল্প কিছু সংখ্যক ট্রেন্ডলাইন বাজারে বিনিয়োগ কখন ঝুকিপূর্ণ তা নির্দেশ করে। আমরা একটি সাপ্তাহিক চার্টে দেখতে পাচ্ছি এর ট্রেডিং রেঞ্জ 6758 হতে 5170 পর্যন্ত যা 1580 পয়েন্ট। সুতরাং, রেজিস্টেন্স লেভেলের একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে sell করা ততোটা বিপদজনক নয়। যদি রেজিস্টেন্স লেভেল ভেঙ্গে যায় তবে সে স্থানটি buy এর স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ক্ষেতের আপনাকে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- ১. Target price বা stop price এর ক্ষেত্রে লাভ-লোকসানের অনুপাত কি হওয়া উচিত? ২. পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী ট্রেডের ক্ষেত্রে আমি কি ট্রেন্ড অনূসরণ করবো অথবা করবোনা? ৩. আপনি কি মার্কেট প্রাইসে ট্রেড করবেন বা একটি উপযুক্ত প্রাইস লেভেলের জন্য অপেক্ষা করবেন ?

Gaps


একটি চার্টের Gap হচ্ছে ট্রেডিং এর সময় সৃষ্ট কিম্বা পরবর্তী ট্রেডিং পিরিওডের সৃষ্ট খালি জায়গা। দুটি ট্রেডিং পিরিওডে মূল্যের অস্বাভাবিক পার্থক্যের কারনে এটি তৈরিহয়। মূলতঃ Gap একটি শেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে ইংগিত করে যদি প্রাপ্তির চেয়ে বেশি অর্জনের ঘোষনা থাকে। এবার চিত্রটি লক্ষ্য করা যাক। চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি দুইটি Gap । প্রথমটি Downward Gap. যখন কোন শেয়ােরর দাম আগের দিনের দামের তুলনায় কম দিয়ে শুরু হয় এবং আগের দিনের দামকে ক্রস করতে পারে না তখন একটি Downward Gap সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ ভাগ শেয়ােরর দাম বৃদ্ধি পায়। নিচের চিত্রে ও আমরা সেই বিষয়ই দেখতে পাচ্ছি। Upward Gap হল ঠিক Downward Gap এর উল্টো। এই ক্ষেত্রে শেয়ােরর দাম আগের দিনের দামের তুলনায় বেশী দিয়ে শুরু হয় ফলে উপরের দিকে একটি Upward Gap সৃষ্টি হয়। এই Upward Gap সৃষ্টি হলে দেখা যায় অধিকাংশ শেয়ােরর দাম কমে যায়। নিচের চিত্রে ও আমরা তাই লক্ষ্য করছি। যেদিন ক্যানডেল স্টিকটি একটি Upward Gap সৃষ্টি করেছে ঠিক তার পরদিন থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। সুতরাং Gap Trading এর ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন ধরনের Gap সৃষ্টি হচ্ছে।

Head and shoulders


Head and Shoulders মূলত একটি Reversal Chart Pattern । টেকনিক্যাল এনালাইসিসে এই চার্টটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য। Head and Shoulders যখন সৃষ্টি হয় তখন এটি রিভার্সেল চার্ট প্যাটার্ণ হিসেবে কাজ করে এবং একটি শেয়ারের পূর্ব্বর্তী ট্রেন্ডের বিপরীত গতি নির্দেশ করে। Head and Shoulders চার্ট প্যাটার্ণটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম পরিধির দূর্বলতা তুলে ধরার মাধ্যমে ট্রেন্ডের দূর্বলতা চিহ্নিত করে। Head and Shoulders চার্ট প্যাটার্ণটি খুব মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে হবে কারন মনযোগী না হলে অনেক সময় আপনি চার্ট প্যাটার্ণটি ধরতে পারবেন না। চিত্রে Head and Shoulders দেখাচ্ছে যেটি আমাদের দেশের বাজারে সংগঠিত হয়েছে। চিত্রে ওপর দিকে Head and Shoulders সংগঠিত হয়েছে এবং যখন Nick line cross করেছে তখন দাম ও অনেক পরিমানে কমে গেছে।

Dead Cat Bounce


আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের টেকনিক্যাল টার্ম ব্যাবহার করে থাকি এবং তাদের মধ্যে একটি টার্ম হচ্ছে Dead Cat Bounce। এই Dead Cat Bounce হচ্ছে যখন একটি শেয়ার অনেক দিন নিন্মমুখি থাকার পর কিছু দিনের জন্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে থাকে। এই বিষয়টি ঘটে থাকে কারন অনেক বিনিয়োগকারীর মার্কেটের প্রতি স্বল্প সময়ের জন্য আগ্রহ থাকে যাকে আমরা Short Interest ও বলতে পারি। যদি একটি বেয়ারিশ মার্কেটে চাহিদা এবং যোগানের পরিমান সমান না হয় তবে একটি স্বল্প সময়ের জন্য বিপুল চাহিদার সৃষ্টি হয় এবং স্বল্প সময়ের জন্য দাম বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধিকে টেকনিক্যাল আনাল্যসিসের ভাষায় Dead Cat Bounce বলা হয়ে থাকে। এই বৃদ্ধিটি খুব স্বল্প সময়ের জন্য হয় এবং একটি শক্ত বিক্রয় চাপ থাকে ফলে আগের মূল্যসীমা অতিক্রম করে যায়। আমরা আমাদের ডিএসই চার্ট পর্যবেক্ষণ করলে এই বিষয়ে অনেক পরিষ্কার ধারনা পাব। চার্টে লক্ষ্য করে দেখুন প্রায়ই ডিএসই ইনডেক্স কিছুটা বৃদ্ধি পায় এবং সাথে ভলিউমও বেড়ে ছিল। কিন্তু বেশিদিন সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল না। আবার ঠিক সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকেও ইনডেক্স ছিল ঊর্ধ্বমুখী এবং কয়েক দিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিয়ারিশ মার্কেতে এই মাঝে মাঝে যে দামের এবং শেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা একেই Dead Cat Bounce বলা হয়ে থাকে। পরিমানে কমে গেছে।

Cup & handle


Cup and Handle চার্টটি একটি bullish Continuation প্যাটার্ণ যা uptrend থেমে যাওয়ার পরেও যখন প্যাটার্ণটি সৃষ্টি হয় তখন তা উর্ধ্বমূখী দিক নির্দেশ করে। আমরা যদি চার্টে লক্ষ্য করি করি তবে সেটা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারব। চার্টটিতে March মাস থেকে downward trend শুরু হয়েছিল এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর একটি কাপ প্যাটার্ণ তৈরি করেছে যেটা দেখতে অনেকটা চায়ের কাপের মত বলে এই প্যাটার্ণটির নাম দেয়া হয়েছে Cup and Handle । এই প্যাটার্ণটি একটি মজবুত Upward Trend নির্দেশ করে । চার্ট এ আমরা ঠিক তাই দেখতে পাচ্ছি। এই প্যাটার্ণটি আমাদের দেশের বাজারে খুব সহসা দেখা যায় না। মাঝে মাঝে এই ধরনের চার্ট সংগঠিত হয় এবং যদি সংগঠিত হয় তবে সেই খুব দীর্ঘ দিনের জন্য ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় থাকে। ১. ট্রেন্ডঃ একটি continuation pattern এর জন্য অবশ্যই শেয়ারটিকে একটি ট্রেন্ডে থাকতে হবে। ২. কাপঃ কাপটি দেখতে অনেকটা “ইউ” এর মত হবে। কিন্তু হুবুহু যে “ইউ” শেপই হতে হবে সেই রকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ৩. কাপের গভিরতাঃ কাপের গভীরতা সাধারণত ১/৩ অংশ হবে আগের থেকে। ৪. হান্ডেলঃ হান্ডেল থেকে সাধারণত শেয়ারটি শক্ত ভাবে পুল ব্যাক করে। ৫. সময় কালঃ একটি কাপ এবং হান্ডেল সংগঠিত হতে ১ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে আবার এর আগে ও সংগঠিত হয়তে পারে। ৬. ভলিউমঃ যখন দেখা যায় হ্যান্ডল থেকে ব্রেকআউট হবে তখন ভলিউমও বেশি হবে।

Average True Range


Average True Range - 1

Average True Range indicator টি দামের গতি ও সময় কোনটাই নির্দেশ করেনা শুধুমাত্র দাম পরিবর্তনশীলতার (volatility) ডিগ্রী নির্দেশ করে। এই indicator গুলো সব সময় বিষয় অনুযায়ী ব্যবধান (gap) এবং limit move দেখায়। Limit move তখনই সংঘটিত হয় যখন একটি কমোডিটি তার অনুমোদিত সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ওঠানামা করে এবং পরবর্তী সেশান না আসা পর্যন্ত আবার ট্রেডে অংশগ্রহন করেনা।এর ফলে সৃষ্ট বার কিম্বা ক্যান্ডেলস্টিক ছোট ড্যাশে পরিণত হয়। নিন্মলিখিত তিনটি value এর উপর ভিত্তি করে True range নির্ধারিত হয়। • চলতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম মূল্যের পার্থক্য(high & low) • পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্য • পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বনিন্ম মূল্যের পার্থক্য যদি চলতি (current) সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্মের পরিধি বৃদ্ধি পায় তবে এটি True range হিসেবে বাবহৃত হওয়ার সুযোগ থাকে। আর যদি চলতি(current) সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্মের পরিধি ছোট হয় তবে এটি অন্য দুটি পদ্ধতির মত True range ক্যালকুলেশনে ব্যবহৃত হয়। শেষের দিক-কার দুটি সম্ভাবনা তৈরি হয় যখন পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশী থাকে। (যা limit move অথবা gap এর নেমে আসাকে ইংঙ্গিত করে) উপোরোক্ত চিত্রে দেখতে পাই তিনটি অবস্থাতেই TR চলতি সর্বোচ্চ/সর্বনিন্ম এর উপর নির্ভর করছে না। লক্ষ্য করুন, তিনটি দৃষ্টান্তেই সীমার স্বল্পতা রয়েছে এবং দুটি দৃষ্টান্তে একটি গুরুত্বপূর্ন gap পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১. ব্যবধান (gap) বৃদ্ধি যা একটি স্বল্প সীমা(high/low) সৃষ্টি করে। পুর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে TR মান নির্ণয় করা হয়। ২. ব্যবধানের(gap) হ্রস্বতা যা একটি স্বল্প সীমা(high/low) সৃষ্টি করে। পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বনিন্ম মূল্যের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে TR মান নির্ণয় করা হয়। ৩. তাসত্ত্বেও পূর্ব্বর্তী সর্বোচ/সর্বনিন্ম পরিধির মধ্যে চলতি সমাপ্তি মুল্য অন্তর্ভূক্ত থাকে। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য। 


Average True Range - 2

মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ATR calculation করা হয়। বিষয় গুলো হচ্ছেঃ ১. চলতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম মূল্যের পার্থক্য(high & low). ২. পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্য. ৩. পূর্ব্বর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বনিন্ম মূল্যের পার্থক্য। সাধারণতঃ ATR ১৪ দিনের ডাটার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয় এবং দিনের মধ্যবর্তী সময়, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে এটি নির্ণিত হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ, ATR দৈনিক ডাটার উপর নির্ভরশীল।কারন সবকিছুর শুরু রয়েছে, প্রথম TR value পেতে হলে সর্বোচ্চ হতে সর্বনিন্ম মূল্যকে বাদ দিতে হবে। আর প্রথম ১৪ দিনের ATR হচ্ছে দৈনিক ATR value-র গড় যা পূর্বের ১৪ দিনে সংঘটিত হয়েছিল। এর পরে Wilder (ইন্ডিকেটরটির জনক) ডাটাকে আরো সঠিকভাবে পেতে পূর্ব্বর্তী ATR value যুক্ত করেছেন। ২য় ও পরবর্তী ১৪ দিনের ATR value-র ক্যালকুলেশন নিন্মে বর্ণিত হলোঃ ১. পূর্ব্বর্তী ১৪ দিনের ATR কে ১৩ দিয়ে গুণ , ২. একেবারে চলতি TR value যুক্ত করতে হবে, ৩. ১৪ দ্বারা বিভাজন করতে হবে. চিত্রে আমরা ATR বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি। ভাল ভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন যখন ATR ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে ছিল Average True Range এর তুলনায় এবং শেয়ারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছিল। আবার যখন ATR নিন্মমুখি হয়ে ওঠে ছিল Average True Range এর তুলনায় এবং শেয়ারটির দামও কমে যাচ্ছিলো। এই ভাবে একটি শেয়ারের ATR খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।

Harmonic price patterns (শেষ পর্ব)


Harmonic Price Patterns ব্যাবহারের মাধ্যমে মুনাফা করার জন্য যে বিষয়টি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেইটি হচ্ছে আপনি কতটা দক্ষ ভাবে Pattern গুলো খুঁজে বের করতে পারেন। তিনটি বেসিক ধাপ রয়েছে এই Harmonic Price Patterns ঠিক মত চিহ্নিত করার জন্য। ১. আপনাকে একটি সম্ভাব্য Harmonic Price Pattern সেট করতে হবে। ২. তারপর আপানাকে সেই সম্ভাব্য Harmonic Price Pattern টি পরিমাপ করতে হবে। ৩. আপনি ক্রয় এবং বিক্রয় সম্পন্ন করবেন যখন Harmonic Price Pattern টি সম্পূর্ণ হবে। প্রথম ধাপে লক্ষ্য করুন চার্টটি একটি সম্ভাব্য Harmonic Price Pattern এর মত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই সময় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলোনা যে এই pattern টি কি three-drive হবে অথবা Bat pattern হবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য এর রেভারসাল পয়েন্টটি ছিনহিত করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আপনি Fibonacci tool ব্যাবহার করে কিছুটা মাপঝোঁক করে নিতে পারেন। লক্ষ্য করুন মুভ BC হচ্ছে মুভ AB এর .৬১৮ retracement লেভেল। মুভ CD হচ্ছে মুভ BC এর ১.২৭২ extension এবং সব শেষে মুভ AB এর দৈর্ঘ্য মুভ CD এর প্রায় সমান। ফলে এই Pattern টি একটি বুলিশ ABCD pattern হয়েছে যা একটি ক্রয় সিগন্যাল। একবার যখন pattern টি সম্পূর্ণ হবে তখন আপানাকে ক্রয় অথবা বিক্রয় কোনটি করবেন সেই বেপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জন্য আপনার পয়েন্ট D থেকে ক্রয় করা উচিত। এবং আপনি বিক্রয় আদেশ দিতে পারেন যখন দাম আপনার ক্রয় মূল্য থেকে নিচে নেমে যাবে। harmonic price patterns এর একটি সমস্যা হচ্ছে অনুশীলন না থাকেল এই pattern গুলো খুঁজে বের করা একটু কঠিন। তবে আপনি যদি নিয়মিত অনুশীলন করেন তবে আপনি কিন্তু অনেক তারাতারি এই pattern গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন।

Harmonic price patterns


Harmonic price patterns (পর্ব - ১)
harmonic price patterns সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা একজন বিনিয়োগকারীকে একটি ট্রেন্ডের সম্ভাব্য retracements বুঝতে সাহায্য করে থাকে। আপনাদের নিশ্চয়ই Fibonacci retracement এবং extensions সম্পর্কে মনে আছে কারন আমরা আমাদের টিউটোরিয়াল কর্নারে এই সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের এই retracement এবং extensions টুলস দুইটি দরকার হবে harmonic patterns নির্ণয় করার জন্য। ছয় ধরনের harmonic patterns সাধারণত দেখা যায়। সেই গুলো হচ্ছে ১.ABCD pattern ২.Three-Driven Pattern ৩.Gtartley Pattern ৪.Crab Pattern ৫. Bat Pattern ৬. Butterfly Pattern। এখন আমরা ABCD pattern নিয়ে আলোচনা করব এবং বুঝতে চেষ্টা করব এই pattern- টি কিভাবে কাজ করে থাকে। ABCD pattern টি বুঝতে এবং খুজে বের করতে আপনাকে Fibonacci টুলস ব্যাবহার করতে হবে এবং সেই সাথে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দরকার হবে। ABCD pattern এ AB এবং CD কে legs এবং BC কে correction বলা হয়ে থাকে যা একটি বুলিশ এবং বিয়ারিশ উভয় ট্রেন্ডের জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি leg AB থেকে retracement আঁকেন তবে BC -র retracement 0.618 লেভেল হওয়া উচিৎ। এবং BC লাইনের extension CD লাইনের পরিমাপ 1.272 লেভেল হবে। আপনি retracement এর সাহায্যে সম্ভাব্য লেভেল গুলো জেনে গিয়েছেন এবং সম্পূর্ণ pattern টি সংগঠিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে (point D সংগঠিত না হওয়া পর্যন্ত)। এই ABCD pattern এর কিছু Rules রয়েছে এবং Rules গুলো হচ্ছে। ১. AB লাইনের দৈর্ঘ্য ঠিক CD লাইনের দৈর্ঘ্যর সমান হবে। ২. Point A থেকে Point B তে যেতে যে সময় লাগে ঠিক একই সময় লাগবে Point C থেকে Point D তে পৌঁছুতে। অনেক সময় এই Rules গুলোর কিছুটা তারতম্য হয়ে থাকে যখন শেয়ার মার্কেট দুর্বল এবং খুব Volatile হয়ে থাকে। 

Harmonic price patterns (পর্ব - 2)
three-drive pattern টিও অনেকটা ABCD Pattern এর মত কিন্তু এই Pattern টির তিনটি legs রয়েছে যা সাধারণত drives নামে পরিচিত এবং দুইটি corrections বা retracements রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই three-drive pattern টি Elliott Wave pattern এর অগ্রদূত বলে বিবেচিত হয়। এই pattern টির খেত্রেও আপনাকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শম্পন্ন হতে হবে এবং অবশ্যই Fibonacci টুলস ব্যাবহার করতে হবে। আপনি চার্টে লক্ষ্য করলে দখতে পাবেন পয়েন্ট A এর পরিমাপ drive 1 এর 61.8% retracement লেভেল হওয়া উচিৎ। ঠিক একই ভাবে পয়েন্ট B এর পরিমাপ drive 2 এর 0.618 retracement লেভেলে হবে। তারপর drive 2 অবশ্যই 1.272 extension of correction A এবং drive 3 অবশ্যই 1.272 extension of correction B হতে হবে। এই correction গুলোর extension সম্পূর্ণ হলে পুরো pattern টি সংগঠিত হবে। এই pattern টি একটি বুলিশ এবং বিয়ারিশ উভয় ট্রেন্ডের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত যখন দাম পয়েন্ট B তে পৌছায় তখন আপনি 1.272 extension লেভেলে দীর্ঘ অথবা স্বল্প সময়ের জন্য ট্রেডে অংশ নিতে পারেন। এই pattern টির ও কিছু rules রয়েছে। rules গুলো হচ্ছে ১. drive 2 সম্পূর্ণ হতে যে সময় লাগে ঠিক একই সময় লাগবে drive 3 সম্পূর্ণ হতে। ২. retracements A এবং B সম্পূর্ণ হতেও ঠিক একই সময় লাগবে। চিত্রে লক্ষ্য করুন বুলিশ ট্রেন্ডের সময় পয়েন্ট A এবং B এর অবস্থান ছিল ওপরে তারমানে ঐ গুলো ছিল Corrective wave. মার্কেট যখন আপ ট্রেন্ডে থাকবে তখন Corrective wave হয় নিচের দিকে এবং মার্কেট যখন ডাউন ট্রেন্ডে থাকবে তখন Corrective wave হয় ওপরের দিকে। 


Harmonic price patterns (পর্ব - ৩)
Harmonic price patterns এর মধ্যে আরেকটি প্যাটার্ন হচ্ছে Gartley "222" pattern। এই প্যাটার্নটির নামকরন করা হয়েছে H.M. Gartleys এর নামানুসারে কারন তিনিই এই pattern টি সর্ব প্রথম আবিষ্কার করেন। এই pattern টি মধ্যেও basic ABCD pattern রয়েছে যা আমরা গত কয়েকদিন আগের টিউটোরিয়াল কর্নারে আলোচনা করেছিলাম। এই Gartley "222" pattern টি সাধারণত সংগঠিত হয় যখন একটি ট্রেন্ডের correction হয় এবং এটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি শব্দ 'M' এর মত (যখন বুলিশ প্যাটার্ন)এবং আরেকটি অনেকটা ইংরেজি শব্দ 'W' এর মত (যখন বিয়ারিশ প্যাটার্ন)। এই প্যাটার্ন গুলো বিনিয়োগকারীদের কখন শেয়ার কিনতে হবে অথবা এন্ট্রি দিতে হবে এই বেপারে অনেক সাহায্য করে থাকে। একটি Gartley প্যাটার্ন সংগঠিত হয় যখন price action একটি correction এর সংকেত দিয়ে সম্প্রতি উপট্রেন্ড অথবা ডাওনট্রেন্ডে যেতে থাকে। এবং এই বিষয়টি Fibonacci retracement এবং Fibonacci extension ব্যাবহারের মাধ্যমে আর পরিষ্কার হওয়া যায়। এটি খুব strong নির্দেশনা দেয় যখন রেভারসাল হয়। এই Gartley pattern টি খুজে বের করা কিছুটা কঠিন এবং কিছুটা বিবভ্রান্তিকর হলেও যদি আপনি একবার বের করতে পারেন তবে আস্তে আস্তে বিভ্রান্তি কেটে যাবে। একটি আদর্শ Gartley pattern এর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে - ১. AB point এর মুভমেন্ট সাধারণত XA point এর মুভেমেন্টের .618 retracement লেভেলে হবে। ২. BC point এর মুভমেন্ট সাধারণত AB এর মুভেমেন্টের .382 অথবা .886 retracement লেভেলে হবে। ৩. যদি AB এর মুভ BC এর retracement লেভেল .382 হয় তবে CD এর মুভ retracement লেভেলের 1.272 হওয়া উচিৎ। ৩. CD এর মুভ XA এর .786 retracement হওয়া উচিৎ। দিকে। 




Accumulation/Distribution


বিভিন্ন indicator দ্বারা একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের volume ও money flow পরিমাপ করা যায়। Accumulation/Distribution Line হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় volume ইন্ডিকেটর। Volume indicator গুলোর পেছনে যে মূলধারণা কাজ করে তা হচ্ছে volume-এ পরিবর্তন মূল্যে পরিবর্তন ঘটায়। কি পরিমান শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে এবং কি পরিমান অর্থ প্রবাহ(money flow) একটি শেয়ারে প্রবেশ করছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে তা Volume নির্দেশ করে। অনেক সময় একটি শেয়ারের লেনদেনের প্রায় শুরুর দিকে বর্ধিত volume পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত অধিকাংশ volume বা money flow indicator গুলো এভাবে তৈরিকরা হয়েছে যাতে মূল্যে পরিবর্তনের পূর্বে এটি পজিটিভ এবং নেগেটিভ volume flow-র প্রাথমিক বৃদ্ধি চিহ্নিত করতে পারে যা কিছুটা মুনাফা লাভে সহায়ক। আমরা এখন একটি শেয়ার নিয়ে দেখব কিভাবে কাজ করে। চিত্রটি খেয়াল করুন। ভাল ভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন জুন মাসের শেষ ভাগে Accumulation/Distribution Line টি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে এবং সেই সাথে ও volume বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি শেয়ারটি এখন Distribution পর্যায় রয়েছে। আবার দেখুন ঠিক জুলাই মাসের একটু আগে Accumulation/Distribution Line টি সমান্তরাল ভাবে চলছিলো এবং কিছুটা volume ও বৃদ্ধি পেয়েছিল, আসলে তখন Accumulation period চলছিলো।ঠিক তার কিছুদিন পরই শেয়ারটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় শেয়ারটি আবার Distribution আরাম্ভ করে ছিল এবং সাথে সাথে volume ও বৃদ্ধি পেয়েছিল।

Pivot:


একটি নির্দিষ্ট মূল্যকে বেইজ করেই ট্রেড সংঘটিত হয় যা যেকোন বাজারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একটি বিশাল সংখ্যক নুতন ক্রেতা এবং বিক্রেতার অনুপস্থিতিতে এই পয়েন্টটি প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য মূল্যস্থল হিসেবে স্থানীয় ট্রেডার এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের বিড এবং অফার সম্বন্বয়ে সাহায্য করে। এই মূল্যস্থলটিকেই Pivot পয়েন্ট বলে। যখন মূল্য এই pivot পয়েন্ট হতে সরে যায় তখন নুতন সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স লেভেল তৈরি হয়। যখন এই জ়োনগুলি ভেঙ্গে যায় তখন দামে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় এবং নুতন ট্রেডাররা বাজারে প্রবেশ করে। ক্যালকুলেশনঃ নিন্মে Pivot পয়েন্ট এবং এর সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল এর ক্যালকুলেশন তুলে ধরা হলোঃ Pivot point(P)=(H+L+C)/3 First resistence level(R1)= (2*P)- L First support level(S1) = (2*P) – H Second resistence level (R2)= P+(R1-S1) Second support level(S2)= P – (R1-S1) যেখানে H, L, C হচ্ছে পূরবর্তী দিনের সর্বোচ্চ, সর্বনিন্ম এবং সমাপ্তিমূল্য নির্দেশ করছে। যায়।

Pushing Up through Supply


সাধারণত Crowed Behavior এর জন্য আমাদের মত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় উপরের লেভেলে আটকা পরে যাই। তার অর্থ হচ্ছে Resistance লেভেল ব্রেক করতে পারে না। যখন Resistance লেভেলে বিনিয়োগকারীরা আটকে যায় তখন কিছু বিনিয়োগকারী পেনিক সেল করেন এবং শেয়ারটির দাম আস্তে আস্তে কমে যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিক্রয়কারীর সংখ্যা কমে যায় এবং যারা সেল না করে আটকে ছিল তারা পারথনা করতে থাকে দাম বাড়ার জন্য। এই সুযোগটির জন্যই প্রোফেসনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা সেই সময় খুবই কম দামে শেয়ার গুলো কিনে নেন এবং কিছুদিন অপেক্ষা করেন। তারপর আস্তে আস্তে শেয়ারটির বিক্রেতা কমে যায় এবং যোগান (Supply) ও কমে যায়। ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দাম আবার বারতে শুরু করে। আবার সেই Resistance লেভেলে চলে গেলে মার্কেট মেকেররা বাজারে যোগান বাড়িয়ে দেয় এবং Resistance লেভেল ব্রেক করে। যখন এই অবস্থা হয় তখন যেইসব বিনিয়োগকারী Resistance ভেলেভে আটকে ছিল তারা কিছুটা শস্তি পায় এবং শেয়ার গুলো বিক্রয় না করে অপেক্ষা করতে থাকে বেশি দামের আশায়। আবার ও সেই Crowed Behivior জন্য নতুন বিনিয়োগকারীরা ঐ লেভেলে শেয়ার কিনতে থাকেন। এই সময় মার্কেট মেকেররা আবার তাদের সব শেয়ার বিক্রয় করে কিছুদিন নিষ্ক্রয় ভূমিকা পালন করেন। এই ভাবেই এই ধারাটি চলতে থাকে।

Swing Trade Strategy:


প্রথমবার আপনি দেখতে পেলেন candlestick টি একটি রিভারসাল প্যাটার্ন তৈরি করেছে এবং support line এ স্পর্শ করেছে ফলে আপনি বুঝতে পারছেন শেয়ারটি আগামিকাল pull back করার যথেষ্ট শম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিন আপনি লক্ষ্য করলেন একটি bulish candlestick তৈরি হয়েছে তার মানে শেয়ারটি সত্যি pull back করেছে। আপনি যদি সেই দিন শেয়ারটি ক্রয় করেন তবে চার দিনের মাথায় মুনাফা নিয়ে বের হতে পারবেন। ধরুন আপনি চার দিনের মাথায় শেয়ারটি বিক্রয় করলেন। এইবার আবার কিছু দিন অপেক্ষা করুন এবং শেয়ারটির মুভমেন্ট খেয়াল করুন। ঠিক আবার চার দিন পর দেখলেন candlestick টি আবার একটি রিভারসাল প্যাটার্ন তৈরি করেছে। আপনি অপেক্ষা করছেন পরের দিনের জন্য।পরের দিন ও ঠিক একই ভাবে আপনি লক্ষ্য করলেন একটি bulish candlestick তৈরি হয়েছে তার মানে শেয়ারটি আবার pull back করেছে। আপনি যদি সেই দিন ও শেয়ারটি ক্রয় করেন তবে আবার পাঁচ দিনের মাথায় বিক্রয় করতে পারেন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে মুনাফা অর্জন করতে পারেন। চিত্রটি ভাল ভাবে খেয়াল করে দেখুন একটি শেয়ার আপনাকে বার বার মুনাফা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আপনি এই Swing Trade ব্যাবহার করে তিন বার ক্রয় এবং তিন বার বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। শুধু প্রয়োজন আপনার সতর্ক দৃষ্টি এবং বুদ্ধি। আপনাকে খুজে বের করতে হবে এই রকম প্যাটার্ন যা ব্যাবহার করে আপনি স্বল্প সময় মুনাফা করতে পারবেন.

Trend Spotting - 2


Ranging হচ্ছে একটি মার্কেট যখন নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বার বার ওঠা নামা করে এবং রেঞ্জেটির আওতা হচ্ছে মূল্যর উচ্চসীমা এবং মূল্যর ণিন্মসীমা। বার বার মার্কেট এই রেঞ্জের মধ্য ওঠানামা করে বিধায় এটিকে ranging বলা হয়। চিত্রে একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন শেয়ারটির দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠা নামা করে। কিন্তু সেই রেঞ্জটি ব্রেক করতে পারেনি। এই ধরনের বাজারে বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা low price লেভেলে শেয়ার ক্রয় করে থাকেন এবং high price লেভেলে বিক্রয় করে থাকেন। এই Ranging মার্কেটে ও আপনি Stochastic এবং RSI Indicator ব্যাবহার করতে পারেন। আবার ও চিত্রে লক্ষ্য করে দেখুন আমরা Stochastic ব্যাবহার করেছি। এই টুলটি ব্যাবহার করা হয়েছে বাজারে overbought এবং oversold চিহ্নিত করার জন্য। খেয়াল করুন যখন শেয়ারটির দাম ওপরের লেভেলটি ব্রেক করতে পারেনি তখন দেখুন Stochastic টি ও overbought অবস্থায় ছিল। ফলে শেয়ারটির দাম কমে যায়। ঠিক একই ভাবে নিচের দিকের লেভেলও ব্রেক করতে পারেনি এবং সেই সময় Stochastic টি ও oversold অবস্থায় ছিল। সুতরাং আপনি কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনার Entry এবং Exit এর সময় নির্ধারণ করতে পারবেন।

Trend Spotting 1


যখন দুই জন যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিত হয় তখন শুধু বোকা যোদ্ধাই কেবল মাত্র কোন পরিকল্পনা ছাড়াই লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু বুদ্দিমান যোদ্ধা একটি পরিকল্পনা নিয়েই যুদ্ধে অংশগ্রহন করে থাকে। ঠিক তেমনি আপনারও উচিৎ একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা। আর সেই জন্য আপনাকে বাজারের গতিবিধি বা ট্রেন্ড বুঝতে হবে। বাজারে সাধারণত তিন ধরনের ট্রেন্ড পরিলক্ষিত হয়। এই গুলো হচ্ছে ১. আপ ট্রেন্ড, ২. ডাওন ট্রেন্ড, ৩. রেঞ্জিং। আজ আমরা দেখব Trending Market কি এবং এই বিষয়টি কিভাবে আপনার কাজে আসবে। Trending Market হচ্ছে একটি মার্কেট যখন নির্দিষ্ট ট্রেন্ডে অনেক দিন যাবত চলতে থাকে। চিত্র লক্ষ্য করুন এবং দেখুন একটি পরিষ্কার ডাওন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। তারমানে আমরা এই ট্রেন্ডটিকে Trending বলতে পারি কারন অনেক দিন যাবত এই ট্রেন্ডটি অব্যাহত ছিল। আপনি আপ ট্রেন্ড বুঝতে পারবেন যখন "higher highs" এবং "higher lows" দেখতে পাবেন এবং ডাওন ট্রেন্ড বুঝবেন "lower highs" এবং "lower lows" দেখে। আপনি এই Trending মার্কেটেও Moving Average টুলস টি বেবহার করতে পারেন। আপনি ৭ দিন, ২০ দিন এবং ৬৫ দিনের Simple Moving Average নিতে পারেন। একটু ভালভাবে লক্ষ্য করুন যখন ওপর দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে তখন মূল্যর trending up সংগঠিত হয়। আবার ঠিক উল্টো ভাবে যখন নিচের দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে তখন মূল্যর trending down সংগঠিত হয়। চিত্রে ঠিক এই বিষয়টিই দেখানো হয়েছে।

Relationship between Trend Line and Volume:


আজকে আমরা Trend Line বা রেখের পরিবর্তনের সাথে Volume এর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব। উপোরোক্ত চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি চারবার দাম মিডিয়াম ট্রেন্ডকে অনুসরন করেছে কিন্তু ট্রেন্ডলাইনটিকে অতিক্রম করে যায়নি। অবশেষে এক সময় মূল্য একটি উঠতি স্বল্পমেয়াদী ট্রেন্ডলাইনের সাহায্যে মিডিয়াম ট্রেন্ডলাইনকে অতিক্রম করে গেছে। পরবর্তী দিনে বাজার সঠিক তথ্য দিয়েছে যে এটি ট্রেন্ডলাইন হতে ওপরে উঠে অর্থাৎ দাম বেড়ে গিয়ে একটি নুতন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। এখনে volume এর ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। volume ছাড়া কোন Trend Line মজবুত হয় না। এই লাইনের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। যখনই দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখনই ভলিউম বৃদ্ধি পেতে থাকে। অনেক সময় এই Trend Line ভুল সিগন্যাল ও দিতে পারে। যদি ভুল সিগন্যাল দেয় তবে Trend Line টি পূর্ণ না হয়ে বিপরীত মুখি ধারার চলে যাবে অর্থাৎ line change হয়ে যাবে। টেকনিকাল এনালিসিস এ সফল হবার মূলে হচ্ছে অনুশীলন। এই অনুশীলনের মাধ্যমেই সম্ভব পুরো বিষয়টাকে আয়ত্ত করা।

Fibonacci Arc


টেকনিক্যাল আনালাইসিসে Fibonacci Retracement এর মত Fibonacci Arc ও একটি শেয়ারের সম্ভাব্য support & resistance level নির্ণয় করতে সাহায্য করে। Fibonacci Arc এর খেত্তেও সর্ব প্রথম যেটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল Fibonacci Arc খুব ভাল কাজ করে যখন মার্কেট একটি Trend এর দিকে যেতে থাকে। মার্কেট যখন Uptrend এ যেতে থাকে তখন একজন Trader Long Position এ থাকতে পারে যতক্ষণ Fibonacci Arc Support Level এ থাকে। আবার মার্কেট যখন Downtrend এ যেতে থাকে তখন একজন Trader Short Position এ থাকতে পারে যতক্ষণ Fibonacci Arc Resistance Level এ থাকে। আর এই Retracement Level খুজে পবার জন্য আপনাকে নিকটবর্তী Swing Highs and Swings Lows বের করতে হবে। তারপর Swing High থেকে Swing Low পর্যন্ত একটি Fibonacci arc Draw করতে হবে। চিত্রে Swing Low থেকে একটি Fibonacci Arc swing High পর্যন্ত আঁকা হয়েছে। চার্ট থেকে আমরা দেখতে পাই retracement levels ছিল ৩৮.২%, ৫০.০%, ৬১.৮% পয়েন্ট। এই লেভেল গুলো আমাদের Support এবং Resistance এর জায়গা পরিমাপ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ যদি শেয়ারটি Downtrend এ চলে আসে তবে ওপরের ঐ লেভেল গুলতে Strong Bounce করার শম্ভাবনা থাকে। ঠিক একই ভাবে যদি Uptrend যায় তবে ওপরের ঐ লেভেল গুলোতে ও Bounce করে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।

Fibonacci Retracement


টেকনিক্যাল আনালাইসিসে Fibonacci খুবই একটি জনপ্রিয় টুলস যেটি সম্ভাব্য support & resistance level নির্ণয় করতে সাহায্য করে। সর্ব প্রথম যেটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল Fibonacci খুব ভাল কাজ করে যখন মার্কেট একটি Trend এর দিকে যেটে থাকে। মার্কেট যখন Uptrend এ যেতে থাকে তখন একজন Trader Long Position এ থাকতে পারে যতক্ষণ Fibonacci Support Level এ থাকে। আবার মার্কেট যখন Downtrend এ যেতে থাকে তখন একজন Trader Short Position এ থাকতে পারে যতক্ষণ Fibonacci Resistance Level এ থাকে। আর এই Retracement Level খুজে পবার জন্য আপনাকে নিকটবর্তী Swing Highs and Swings Lows বের করতে হবে। তারপর Swing High থেকে Swing Low পর্যন্ত একটি Fibonacci Draw করতে হবে। চিত্রে Swing Low থেকে একটি Fibonacci Retracement অপরের swing High পর্যন্ত আঁকা হয়েছে। চার্ট থেকে আমরা দেখতে পাই retracement levels ছিল ৩৮.২%, ৫০.০%, ৬১.৮% এবং ১০০.০% পয়েন্ট। এই লেভেল গুলো আমাদের Support এবং Resistance এর জায়গা পরিমাপ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ যদি শেয়ারটি Downtrend এ চলে আসে তবে ওপরের ঐ লেভেল গুলতে Strong Bounce করার শম্ভাবনা থাকে। ঠিক একই ভাবে যদি Uptrend যায় তবে ওপরের ঐ লেভেল গুলোতে ও Bounce করে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।

Fibonacci Fan


Fibonacci Fan তিনটি Diagonal লাইন দ্বারা গঠিত এবং এই লাইন গুলো Fibonacci Ratio ব্যাবহার করে support এবং resistance লেভেল নির্ণয় করতে সাহায্য করে থাকে। অন্য সব Fibonacci এর মত Fibonacci Fan আঁকার ও কৌশল রয়েছে। এই Fibonacci Fan আঁকতে আপনাকে নিকটবর্তী Swing High এবং Swing Low খুঁজে বের করতে হবে। তারপর Swing Low থেকে Swing High পর্যন্ত একটি Fibonacci Fan আঁকতে হবে। এই Fibonacci Fanএর প্রতিটি লাইন Fibonacci Ratio দ্বারা ভাগ করা থাকে। রেশিও গুলো হচ্ছে 38.2%, 50% এবং 61.8%। লক্ষ্য করুন যখন শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছিল ঠিক তখন সে তার প্রথম support লেভেল ব্রেক করে এবং কিছু দিন side walk করে। তারও কিছু দিন পর তৃতীয় support লেভেল ব্রেক করতে যেয়েও ব্রেক করতে পারিনি এবং আস্তে আস্তে সে আবার উপরের দিকে ওঠা শুরু করে। অর্থাৎ বলা যায় ৫০.০০% লেভেলের support লেভেলটা খুব মজবুত ছিল।

Aroon


Aroon ইনডিকেটরটি হচ্ছে কোন শেয়ারের ট্রেন্ড নির্ণয় করার একটি পদ্ধতি। এই ইনডিকেটরটি বুঝায় একটি শেয়ার কি ট্রেেন্ড রয়েছে অথবা নতুন করে ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে কিনা এবং ট্রেন্ডটি কতটা মজবুত হতে পারে। এই ইনডিকেটরটি এক সাথে দুইটি সংকেত দিয়ে থাকে। একটি হচ্ছে Aroon-Up এবং Aroon-Down। একটি ২৫ দিনের Aroon-Up শেষ ২৫ দিনের শর্বচ্চ দাম পরিমাপ করে থাকে এবং Aroon-Down এর ক্ষেত্রে শেষ ২৫ দিনের সর্বনিন্ম দাম পরিমাপ করা হয়। এই ইনডিকেটরটি গতানুগতিক momentum oscillators ইনডিকেটরেরে থেকে কিছুটা আলাদা। আলাদা হবার প্রধান কারনটি হচ্ছে এই ইনডিকেটরটি দামের থেকে সময়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। সাধারণত এই ইনডিকেটরটি সেন্ট্রাল লাইনের (৫০) ওপরে এবং নিচে ওঠানামা করে থাকে। এর সর্বউচ্চ সীমা হচ্ছে ১০০ এবং শরবনিন্ম সীমা হচ্ছে ০। চিত্রে দেখা যাচ্ছে Aroon প্রথম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দিয়েছিল যখন Aroon-Up ইনডিকেটরটি Aroon-Down কে ক্রস করে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং ৫০ পয়েন্ট লাইন ক্রস করে ১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে ছিল। ঠিক তখন ও Aroon-Down নিন্মমুখি প্রবণতায় ছিল। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তখন শেয়ারটির দাম বেরেছিল এবং যখন Aroon-Down ইনডিকেটরটি Aroon-Up কে ক্রস করে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল তখন শেয়ারটির দাম কমে ছিল। অর্থাৎ আপনাকে দুইটি ইনডিকেটরই ব্যাবহার করতে হবে একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।

Andrew's Pitchfork


Ami Broker এর একটি খুবই জনপ্রিয় টুলস হচ্ছে Andrew's Pitchfork অনেকটা কাটা চামচের মত দেখতে। এই Andrew's Pitchfork Tool -টিকে অনেকে আবার median line studies ও বলে থাকেন। এই median line লাইন দিয়ে সাধারণত support, resistance এবং retracements নির্ণয় করা হয়ে থাকে। এই Andrew's Pitchfork টুলসটিতে একটি Handle, একটি Resistance লাইন, একটি Median লাইন এবং একটি Support লাইন রয়েছে। চলুন এবার একটি উদাহরনের মাধ্যমে দেখে কি ভাবে আমরা এই Andrew's Pitchfork টুলসটি ব্যাবহার করবো। এই Andrew's Pitchfork আঁকার জন্য প্রথমে একটি Low point খুজে বের করতে হবে তারপর সেই low point কে ভিত্তি ধরে আর একটি high point নিতে হবে। এবং শেষ ধাপে সেই high point থেকে আবার নিচের দিকে একটি low point নিতে হবে। চিত্রে লক্ষ্য করুন লাল বক্স করে পয়েন্ট গুলো দেখানো হয়েছে। ১ নাম্বার বক্সটি ছিল low point এবং ২ নাম্বার বক্সটি ছিল high point এবং ৩ নাম্বার বক্সটি ছিল low point। এভাবে আঁকার পর দেখা যায় তিনটি লাইন তৈরি হয়েছে। সব থেকে ওপরের লাইনটি Resistance লেভেল হিশেবে কাজ করে থাকে। মাঝখানের লাইনটি median এবং শেষের লাইনটি একটি শেয়ারের support লেভেল হিসেবে কাজ করে থাকে। চিত্রে support এবং Resistance দেখুন। শেয়ারটির দাম ওপরের লাইনে Resistance যেয়ে ব্রেক করতে না পেরে নিচের দিকে নেমে আসে এবং নিচের লাইনে সে support তৈরি করবে।

Divergence Trading


Divergence Trading টি হলো একটি শেয়ার যখন বোটম লেভেলে থাকে তখন ক্রয় করা এবং যখন টপ লেভেলে থাকে ঠিক তখন বিক্রয় করা। আপনি এই Divergence Trading করার জন্য MACD, stochastic ইনডিকেটরগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এই ট্রেডিং পদ্ধতিটি ব্যাবহার করতে আপনাকে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে Higher Highs and Lower Lows। সাধারণত Higher Highs হচ্ছে উচ্চ পয়েন্ট এর উচ্চ সীমা এবং Lower Lows হচ্ছে নিন্ম পয়েন্ট এর নিন্ম সীমা। চিত্রে ভালভবে লক্ষ্য করলে আপনি ও বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আপনি এখন জেনে গেছেন Divergence Trading সম্পর্কে। এখন আপনি পুরপরি প্রস্তুত Divergence Trading করার জন্য। দুই ধরনের Divergence রয়েছে। একটি হচ্ছে regular এবং আরেকটি হচ্ছে Hidden। regular bullish divergence ব্যাবহার করা হয় সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভারসাল বুঝার জন্য। যদি কোন শেয়ারের দাম lower lows অবস্থানে থাকে কিন্তু oscillator টি higher lows অবস্থানে থাকে তবে সেটি হবে regular divergence। এই regular divergence শাধারনত সংগঠিত হয় একটি ডাওন ট্রেন্ডের পর। একটি Hidden bullish divergence সংগঠিত হয় যখন একটি শেয়ার এর দাম higher low অবস্থানে থেকে এবং oscillator টি lower low অবস্থনে থাকে।

Reversal Candlestick Pattern


1.Long-legged doji: এই রেখাটি সবসময় একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।এটি তখনই সংঘটিত হয় যখন প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি মূল্য একই থাকে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম মূল্যের দূরত্ব পারস্পারিকভাবে অধিক হয়। 2.Dragon-fly doji: এই রেখাটি ও পরিবর্তনের আভাস দেয়।করে।এটি তখনই সংঘটিত হয় যখন প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি মূল্য একই থাকে এবং সর্বনিন্ম মূল্য প্রারম্ভিক, সর্বোচ্চ ও সমাপ্তি মূল্যের চেয়ে কম থাকে। 3.Gravestone Doji: এই রেখার মাধ্যমেও আমরা পরিবর্তনের আভাস পাই।এটি আমরা দেখতে পাই যখন প্রারম্ভিক,সমাপ্তি ও সর্বোনিন্ম মুল্য একই অবস্থানে থাকে এবং সর্বোচ্চ মূল্য প্রারম্ভিক,সমাপ্তি ও সর্বনিন্ম মূল্যের চেয়ে বেশি থাকে। 4.Four Price Doji: এই কেন্ডেলস্টিকটির কোন শরবচ্ছ বা শরবনিন্ম কোন মূল্য থাকে না শুধু পারম্ভিক এবং শমাপনি মূল্য থাকে। এই পারম্ভিক এবং শমাপনি মূল্যর মাঝে ও কোন বেবধান থাকে না। 5.Star: স্টারগুলি রিভারসেলের ইঙ্গিত দেয়।একটি বড় রেখার(রিয়েল বডি)পর এই রেখাটি ছোট দেহ নিয়ে আবির্ভুত হয়।যখন এটি বিয়ারিশ প্যাটার্ণের পর আবির্ভূত হয় তখন তা downtrend নির্দেশ করে এবং বুলিশ প্যাটার্ণের পর আবির্ভূত হয় তখন তা uptrend নির্দেশ করে।তবে স্টারটির অবশ্যই ছায়া থাকতে হবে অন্যথায় এটি স্টার হিসেবে গণ্য হবে না। 6.Doji star: স্টারটি রিভেরসেলের এবং ডজিটি সিদ্ধান্তহীনতা নির্দেশ করে।যদিও এটি অনিশ্চিত সময়ে রিভারসেলের ইঙ্গিত দেয়।ট্রেড করার পূর্বে এই ডজি দেখার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।

Neutral Candlestick Pattern


1.Marubozu: এই কেন্ডেলস্টিকটির সাধারণত কোন ওপরের দিকে কোন ছায়া থাকে না অর্থাৎ কোন শরবচ্ছো বা সর্বনিম্ন মূল্য থাকে না। যদি এই কেন্ডেল টি সবুজ হয় তবে সেটি বুলিশ এবং লাল হলে বিয়ারিশ ধারা বুঝিয়ে থাকে। 2.Doji: এটি অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত বহন করে। যদি শেয়ারের প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি মূল্য একই হয় তবে এটি সংঘটিত হয়।এই রেখাগুলি বিভিন্ন প্যাটার্ণে আবির্ভূত হতে পারে।যুগল ডজি রেখাদ্দ্বয় বর্তমান অনিশ্চয়তা থেকে বেরিয়ে একটি শক্তিশালী ব্রেকাউটের ইঙ্গিত দেয়। 3.Harami: এই প্যাটার্ণটি নিন্মগামী গতি ইঙ্গিত করে।ছোট শরীরবিশিষ্ট রেখা যখন বড় একটি রেখার মধ্যবর্তী হয় তখন এটি সৃষ্টি হয়।উদাহরণস্বরুপ,আমরা দেখতে পাচ্ছি বিয়ারিশ রেখাটি বুলিশ রেখাটিকে অনুসরন করছে যা বুলিশের নিন্মগতি ইঙ্গিত করছে। 4.Harami cross: এটি গতিহ্রাস্ব প্রকাশ করে।এটি harami –র মতো কিন্তু পরবর্তী রেখাটি ডজি যা অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়।

Ascending & Descending Triangles Chart Pattern


স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগকারীদের কাছে Ascending এবং Descending Triangles জনপ্রিয় কারন স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা এই ট্রেন্ডটি ব্যবহারের মাধ্যমে সেই পরিমান মুনাফা অর্জন করতে পারেন যার জন্যে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। বরং একটি শেয়ারকে দীর্ঘদিন ধরে না রেখে এই triangles ব্যবহার করে আপনি শেয়ার কিনে তা অল্প কিছুদিন ধরে রেখে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের সমান মুনাফা লাভ করতে পারেন। অনান্য জনপ্রিয় প্যাটার্ণগুলোর মত আপনি যখন চার্টে ascending এবং descending triangles শনাক্ত করতে পারবেন তখন আপনি উর্ধ্বমূখী বা নিন্মগামী ব্রেকাউট চিহ্নিত করে তা হতে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।এভাবে বাজার যেদিকেই অবস্থান নিক না কেন আপনি ভালরকম মুনাফা অর্জন করতে পারেন। তিন এবং চার সপ্তাহের মধ্যে একটি ascending এবং descending প্যাটার্ণ সৃষ্টি হয়।

Channel


যদি আমরা Uptrend ও downtrend এই দুই ধারাকে কেন্দ্র করে যদি সমভাবে দু’টি রেখা অঙ্কন করি তবে আমরা একটি channel পেয়ে যাই। ঊর্ধ্বগতির (ascending) চ্যানেল পেতে হলে up trend বরাবর সমভাবে দু’টি রেখা টেনে যেতে হবে যা সম্প্রতি তার শীর্ষ অবস্থানকে স্পর্শ করেছে। এটি তৈরীর সময় আপনি trend line ও পেয়ে যাবেন। নিন্মগতির (descending) চ্যানেল পেতে হলে down trend বরাবর সমভাবে দু’টি রেখা টেনে যেতে হবে যা সম্প্রতি তার তলদেশকে স্পর্শ করেছে।আপনি চ্যানেল ও ট্রেন্ড লাইন একইসাথে পেয়ে যাবেন। যখন দাম নিচের ট্রেন্ডলাইনটিকে স্পর্শ করে তখন তা ক্রয়ের স্থান (buying area) হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন দাম উপরের ট্রেন্ডলাইনটিকে স্পর্শ করে তখন তা বিক্রয়স্থান (selling area) হিসেবে বিবেচিত হয়। চিত্রটিতে দেখুন Trend গুলোকে Uptrend and Downtrend অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। এর জন্য একটি নিচে এবং ওপরে দুইটি দাগ দিয়ে Channel তৈরি করা হয়েছে। এই Channel এর উপকারিতা হলো আপনি অনেক সহজে Trend line পেয়ে যাবেন এবং বুঝতে পারবেন বাজার কোনদিকে যাচ্ছে ফলে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে কোনোরকম বিলম্ব হবে না। সেই সাথে পরবর্তী কোন হতে পারে সেই সম্পর্কে ও আপনি কিছু আগাম ধারনা পেতে পারেন। channel এর উপরকিতা হচ্ছে আপনি একটি শেয়ার ক্রয় করার সময় তার support level থেকেই ক্রয় করতে পারবেন এবং একটি লম্বা পর্যন্ত অবস্থান নিতে

Support and Resistance


সাপোর্ট বলতে সেই মূল্যস্তরকে নির্দেশ করে যেখানে ক্রেতা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে থেকে মূল্যের পতন রোধ করে। রেজিস্টেন্স হচ্ছে সেই মূল্যস্তর যেখানে বিক্রেতা সুদৃঢ় অবস্থানে থেকে মূল্যের উর্ধ্বগতিকে ধরে রাখে। আতীত মূল্যের উপর ভিত্তি করে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল তৈরিহয়।সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল হচ্ছে সেই মুল্যস্তর যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কিছু ক্রেতা/বিক্রেতা বাজারে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে আরোকিছু ক্রেতা/বিক্রেতা প্রবেশ করে মূল্যকে তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনে। যখন মূল্য রেজিস্টেন্স লেভেলকে অতিক্রম করে তখন তা সাপোর্ট হিসেবে পরিগনিত হয়।আবার যখন মূল্য পতিত হয়ে নিচে একটি নুতন অবস্থান নেয় তখন তা সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।যখন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স পরিবর্তীত হয়ে একটি নুতন রেজিস্টেন্স লেভেল তৈরি করে তখন দাম দ্রুতগতিতে উপরের দিকে ঊঠে আসে যা ব্রেকাউট বা মূল্যবৃদ্ধি নির্দেশ করে।যখন একটি লেভেল পরিবর্তিত হয় কিন্তু যা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রেতা বা বিক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারেনা তখন তা অতীতের সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্সে লেভেল অতিক্রম করে আরো নিচে নেমে আসে। এই পতনকে কৃত্রিম ব্রেকাঊট বলা হয়। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল তার বিভিন্নতা এবং সহনীয়তা নিয়ে অবস্থান করে।এরা অনূভূমিকভাবে মূল্যের মাত্রা/স্থল নির্দেশ করে। বিভিন্ন আঙ্গিকের ট্রেন্ডলাইনগুলি সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করে।যে সময় নিয়ে সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স একটি লেভেলে অবস্থান করে তা সেই স্থলের সহনীয়তা বা দূর্বলতা। এই অবস্থানগুলি সে স্থল থেকে বেরিয়ে আসতে কি পরিমান ক্রয় বা বিক্রয়ের প্রয়োজন তা নির্দেশ করে।যতই একটি অবস্থানে ভলিউম বাড়তে থাকবে ততই সে অবস্থানটি সুদৃঢ় হবে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সকল সময়ে এবং সব বাজারেই অবস্থিত। একটি স্তরে দীর্ঘ সময়ে অবস্থান সে স্তরের সুদৃঢ় এং স্বল্প সময়ের অবস্থান সে স্থলের দূর্বলতাকে নির্দেশ করে।

On Balance Volume (OBV):


১৯৬৩ সালে Joe Granville রচিত “Granville’s New Key to Stock Market Profits” বইতে তিনি On Balance Volume ইন্ডিকেটরটিকে পরিচিত করেন। এটি প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় indicator যা পজিটিভ ও নেগেটিভ volume এর মাত্রা পরিমাপ করে।এর পেছনে যে ধারণা কাজ করে তা হচ্ছে দামে পরিবর্তন ঘটলে Volume তার প্রভাব পড়ে। OBV একটি সাধারণ ইন্ডিকেটর যখন সমাপ্তি মূল্য শীর্ষে থাকে তখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের volume যুক্ত করা হয় এবং যখন সমাপ্তি মূল্য নিন্মে থাকে তখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের volume বাদ দেয়া হয়।একটি ক্রমবর্ধমান volume –এর সমষ্টি যা যোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে OBV Line সৃস্টি করে। পরবর্তীতে divergence অথবা একটি শেয়ার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এই রেখটিকে(OBV) price chart এর সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই indicator –এর পেছনে যে ধারণা কাজ করে তা হচ্ছে দামের পরিবর্তনে OBV-র পরিবর্তন সংঘটিত হয়। একটি বর্ধিত volume দ্বারা আমরা বুঝতে পারি একটি শেয়ারে কি পরিমান অর্থের যোগান রয়েছে। যখনই লোকজন direction অনুসরন করবে তখনই একটি শেয়ারের দাম বাড়তে থাকবে। অনান্য ইন্ডিকেটর এর মত OBV ইন্ডিকেটররে নির্দিষ্ট দিক আছে। একটি উঠতি (bullish)OBV রেখা উর্ধ্বমূখী বাজারে volume –এর আধিক্য নির্দেশ করে।যদি এর সাথে দামও বাড়তে থাকে তবে OBV নিশ্চিত uptrend –র সংকেত দেয়। এইক্ষেত্রে, দাম বেড়ে যাওয়া মানে একটি শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে যা একটি সুনির্দিষ্ট uptrend-র জন্য প্রয়োজন। যাহোক,যদি দাম বাড়তে থাকে এবং volume নিচের দিকে নেমে আসে সেক্ষেত্রে নেগেটিভ divergence সৃস্টি হয়। এই divergence আমাদের অনির্দিষ্ট uptrend এবং এই ট্রেন্ড যে ক্ষণস্থায়ী সে সম্পর্কে সর্তক করে। OBV –র নিউমারিক্যাল ভ্যালু ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা এর গতি কি হবে তা বিবেচ্য।ব্যবহারকারী শুধুমাত্র OBV –র ট্রেন্ড লক্ষ্য করবে এবং শেয়ারের দামকে পর্যবেক্ষন করবে যা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।

Identify Bullish & Bearish Volume


কিভাবে আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করতে পারি। আমরা এই বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম দেখে বাজারের চাহিদা এবং যোগান সম্পর্কে ও ধারনা পেতে পারি। যখন আপনি দেখেন বাজারে একটি শেয়ারের দাম বাড়ছে এবং সেই সাথে ভলিউম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মানে কি হচ্ছে? বাজারে কি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে? হ্যাঁ আপনি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর সহজেই দিতে পারবেন যদি আপনি ভলিউম এনালাইসিস জানেন। এখন আসুন দেখি কি ভাবে এই বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করা যায়। চিত্র - ১ এ লক্ষ্য করুন। দেখা যাচ্ছে শেয়ারটির দাম বাড়ছে এবং প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্যর মধ্যে পার্থক্যের পরিমান বেশি এবং সেই সাথে ভলিউম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এই ভলিউমটিকে বুলিশ ভলিউম বলতে পারি। কারন সেই সময় বাজারে চাহিদা বেশি ছিল এবং সাথে সাথে দাম ও বাড়ছিল। আবার ঠিক একই ভাবে চিত্র - ২ এ লক্ষ্য করুন, দেখবেন শেয়ারটির দাম কমছিল এবং পারম্ভিক এবং শমাপনী মূল্যর মাঝে ও পার্থক্য বেশি ছিল। এবার ভলিউম দেখুন। ভলিউম কিন্তু আগের দিনের থেকেও বেশি ছিল।

Price Volume Trend


Price Volume Trend ইনডিকেটরটি হচ্ছে একটি শেয়ারের মূল্য এবং ভলিউমের শতকরা পরিবর্তনের হার যা মূল্যর পরিবর্তনের গতি কতটা মজবুত সেইটি প্রকাশ করে থাকে। Price Volume Trend ইনডিকেটরটি সাধারণত অনন্যা Price Volume ইনডিকেটরের মত শুধু আগের দিনের সর্বউচ্চ এবং সর্বনিন্ম মূল্য যোগ অথবা বিয়োগ করে না বরং মূল্যর পরিবর্তনের শতকরা হার নিয়ে কাজ করে থাকে। একটি upward দিনের ভলিউম কে গুন করা হয় সেই দিনের মূল্যর শতকরা বৃদ্ধির হার এবং সেই দিনের ক্লোজিং এবং আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যর সাথে। তারপর প্রাপ্ত মানটির সাথে আগের দিনের Price Volume Trend -এর সাথে যোগ করা হয়। আবার একটি Downward দিনের ভলিউম কে গুন করা হয় সেই দিনের মূল্যর শতকরা হ্রাসের হার এবং সেই দিনের ক্লোজিং এবং আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যর সাথে। তারপর প্রাপ্ত মানটির সাথে আগের দিনের Price Volume Trend -এর সাথে যোগ করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ইনডিকেটরটি আপনাকে কি ভাবে সাহায্য করবে? এই ইনডিকেটরটি আপনাকে divergences বুঝতে সাহায্য করে থাকে। চিত্রতে লক্ষ্য করুন। যখন শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন সেই সাথে যদি Price Volume Trend ও বৃদ্ধি পায় তবে সেটি Upward Trend বুঝিয়ে থাকে। আবার যখন শেয়ারটির মূল্য কমতে থেকে তখন সেই সাথে যদি Price Volume Trend ও কমতে থেকে তবে সেটি হবে Downward Trend। এবার লক্ষ্য করুন যখন শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন সেই সাথে যদি Price Volume Trend কমতে থাকে তবে বুঝতে হবে upward Trend টি খুব একটা Strong না। একই ভাবে দেখা যায় আবার যখন শেয়ারটির মূল্য কমতে থাকে তখন সেই সাথে যদি Price Volume Trend বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে বুঝতে হবে Downward Trend টি খুব একটা Strong না।

Importance of Volume


অনেক টেকনিক্যাল এনালিস্টকে আমরা ভলিউম নিয়ে কথা বলতে শুনি। আসলে ভলিউম বলতে আমরা কি বুঝি? সাধারণত ভলিউম হচ্ছে একটি দিনের লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা। বেশি পরিমানের ভলিউম একটি শেয়ারের সক্রিয়তা প্রকাশ করে থাকে। ভলিউম এর মুভেমেন্ট বোঝার জন্য (আপ অথবা ডাউন), এনালিস্টরা সাধারণত ভলিউম বার দেখে থাকেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভলিউম বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন এবং এই ভলিউম আনাল্যসিস করে আপনার কি লাভ হবে। হ্যাঁ ভলিউম টেকনিক্যাল আনাল্যসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারন এই ভলিউমই একটি ত্রেন্ড এবং চার্ট প্যাটার্ন গুলোকে নিশ্চিত করে থাকে। দাম যদি ঊর্ধ্বমুখী অথবা নিন্মমুখি হয় তবে সাথে সাথে বেশি পরিমান ভলিউমও দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি দেখেন একটি শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে কিন্তু সেই সাথে ভলিউম সেই পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে না তখন আপনি ধরে নিতে পারেন এই দাম বৃদ্ধিটি একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি দিন টিকবে না। ধরুন আপনি দেখলেন একটি শেয়ার অনেক দিন ডাউন ট্রেেন্ড থাকার পর হুটকরে একদিন ৫% দাম বৃদ্ধি পেলো।আপনি কি এই বৃদ্ধিকে একটি রেভারসাল ট্রেন্ড ধরবেন? এই ক্ষেত্রে ভলিউম আনাল্যসিস আপনাকে সাহায্য করবে। যদি ভলিউম আগের দিন গুলোর থেকে বেশি হয় তবে আপনি এটিকে রেভারসাল ট্রেন্ড হিসেবে ধরতে পারেন। কিন্তু যদি ভলিউম আগের দিন গুলোর থেকে বেশি না হয় তবে আপনার বুঝতে হবে এটি কোন রেভারসাল ট্রেন্ড নয়। সুতরাং ভলিউমের সম্পর্ক সব সময় ট্রেন্ডের সাথে

Demand Factor


শেয়ার বাজারে চাহিদা এবং যোগান (ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই) বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টেকনিক্যাল আনাল্যসিসে আপনি ভলিউম এবং দামের গতি দেখে সহজেই বিষয়টি ধরতে পারবেন। একজন বিনিয়োগকারী অথবা আনালিস্ট ডিমান্ড এবং সাপ্লাই বিবেচনা করে মার্কেটে ঢুকবেন কি ঢুকবেন না নিরধারন করে থাকেন। সেই সাথে আর ও কিছু বিবেচনার বিষয় রয়েছে যেমন - analysis of trading volume, price action and price spreads. শেয়ার বাজার আপনার কাছে আরও সহজ এবং বোধগম্য হয়ে উঠবে যখন আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন বাজার কি ঊর্ধ্বমুখী হবে অথবা নিন্মমুখি থাকবে। এর জন্য আপনাকে দুইটি বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা রাখতে হবে। একটি হচ্ছে Lack of demand এবং Supply । এই Lack of demand হচ্ছে বাজারে একটি শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা তুলনা মুলক ভাবে কম থাকে। আপনাকে বুঝতে হবে বাজারে demand কতটুকু আছে। যদি আপনি দেখেন একটি শেয়ারের দাম বেড়েছে কিন্তু ভলিউম সেই সাথে বাড়েনি এবং দামের সর্বউচ্চ এবং সর্বণিন্ম সীমার মধ্য পার্থক্য খুবই কম তবে ধরে নিতে হবে বাজারে এই শেয়ারটির demand কম রয়েছে। এবং কয়েক দিন পর দেখতে পাবেন দাম কমে যাচ্ছে। এর কারন হচ্ছে স্মার্টমানি ঐ শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী নয়। ফলে দাম ধিরে ধিরে কমতে থাকে। চিত্রে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অক্টোবর মাসের কয়েকদিন আগে শেয়ারটির দাম কিছুটা spreads করেছিল কিন্তু সেই সাথে ভলিউম কিন্তু Average ভাবে বৃদ্ধি পায়নি। ফলে Lack of Demand বুঝা যাচ্ছিল এবং দেখুন ঠিক কিছু দিন পরই আবার দাম কমতে শুরু করে। এই ধরনের এনাল্যসিসের মাধ্যমে আপনি একটি শেয়ারের গতিবিধি সম্পর্কে ধারনা রাখতে পারবেন এবং আপনি কখন শেয়ারটি ক্রয় করবেন এবং কখন বিক্রয় করবেন সেই সম্পর্কে ও পরিষ্কার ধারনা রাখতে পারবেন। সুতরাং এই ডিমান্ড ফ্যাক্টরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Chaikin Oscillator


Chaikin Oscillator টি Accumulation Distribution Line এর momentum পরিমাপ করে। এবং এই পরিমাপের জন্য Chaikin Oscillator টি MACD formula ব্যাবহার করে থাকে। এটি একটি ইনডিকেটরেরে ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে থাকে। মুলত Chaikin Oscillator টি হচ্ছে Accumulation Distribution Line - এর ৩ দিন এবং ১০ দিনের Exponential Moving Average এর পার্থক্য। অন্যান্য indicator এর মত এই Indcator টি ও trend chaning নির্দেশনা দিয়ে থাকে। Chaikin Oscillator টি দিক নির্দেশনা দেয় যখন zero line এর ওপরে অথবা নিচে crossover হয়।এই ব্যাবহার করে খুব সাধারন ভাবে ক্রয় এবং বিক্রয় করা যায়। ক্রয় এবং বিক্রয়ের সিধান্তটি positive অথবা negative মানের ওপর নিরভর করে থাকে। ক্রয়ের চাপ বেশি লক্ষ করা যায় যখন indicator টি positive থাকে ঠিক একই ভাবে বিক্রয়ের চাপ বেশি থাকে যখন indicator টি negative থাকে।

Money Flow Analysis


money flow এর মাধ্যমে লেনদেনের মান এবং কি পরিমান অর্থ আসছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে তা পরিমাপ করা যায়। মানি ফ্লো কিভাবে কাজ করে।? Money flow এর মাধ্যমে ডাইভারজেন্স যা দাম এবং অর্থের প্রবাহ পরিবর্তন চিহ্নিত করে। তাত্ত্বিকভাবে, একটি শেয়ারের দাম বাড়া মানে সেখানে অর্থ প্রবেশ করেছে। একইভাবে যখন একটি শেয়ারের দাম পড়ে আসে তার মানে সেখান হতে অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি শেয়ারের ক্ষেত্রে money flow পরিবর্তিত হয় তার অতীত এবং বর্তমান লেভেলের উপর ভিত্তি করে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যখন একটি শেয়ারের ট্রেন্ড উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন money flow একইসাথে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটি ৮০% সত্য যাতে কোন নুতন তথ্য যুক্ত করা হয়নি। money flow সেভাবেই কাজ করে যা তার কাছ থেকে আশা করা হয়। উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছি দামের সাথে money flow ও বেড়ে চলেছে। যাহোক, যখন একটি শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে এবং Money flow নিচের দিকে নেমে আসে যা বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স ইংগিত করে। পরবর্তিতে দাম money flow-কে অনুসরন করে অর্থাৎ দাম ও নিচের দিকে নেমে আসে। এই মানি ফ্লোএর মাধমে আমরা বুঝতে পারি সত্যই কি ওই শেয়ারের প্রতি মানুষের চাহিদা আছে কিনা। আবার মানি ফ্লো যদি অনেক দিন over bought অবস্থতায় থাকে তবে বুঝতে হবে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ারটির দাম পড়ে যেতে পারে।