Trend Spotting (পর্ব-১)
যখন দুইজন যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিত হয়, তখন শুধু বোকা যোদ্ধাই কেবল কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বুদ্ধিমান যোদ্ধা একটি পরিকল্পনা নিয়েই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে। ঠিক তেমনি আপনারও উচিত, একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা। আর সেই জন্য আপনাকে বাজারের গতিবিধি বা ট্রেন্ড বুঝতে হবে। বাজারে সাধারণত তিন ধরনের ট্রেন্ড পরিলক্ষিত হয়। এগুলো হচ্ছে ১. আপ ট্রেন্ড, ২. ডাউন ট্রেন্ড, ৩. রেঞ্জিং। আজ আমরা দেখব Trending Market কী এবং এই বিষয়টি কীভাবে আপনার কাজে আসবে। Trending Market হচ্ছে একটি মার্কেট, যখন নির্দিষ্ট ট্রেন্ডে অনেক দিন যাবৎ চলতে থাকে। চিত্র লক্ষ করুন ও দেখুন একটি পরিষ্কার ডাউন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। তার মানে আমরা এই ট্রেন্ডটিকে Trending বলতে পারি। কারণ, অনেক দিন যাবৎ এই ট্রেন্ডটি অব্যাহত ছিল। আপনি আপ ট্রেন্ড বুঝতে পারবেন, যখন ‘higher highs’এবং ‘higher lows’ দেখতে পাবেন এবং ডাউন ট্রেন্ড বুঝবেন ‘lower highs’ ও ‘lower lows’ দেখে।
আপনি এই Trending মার্কেটেও Moving Average টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ৭ দিন, ২০ দিন এবং ৬৫ দিনের Simple Moving Average (SMA) নিতে পারেন। একটু ভালোভাবে লক্ষ করুন, যখন ওপর দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে, তখন মূল্যর trending up সংগঠিত হয়। আবার ঠিক উল্টোভাবে যখন নিচের দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে, তখন মূল্যর trending down সংগঠিত হয়। চিত্রে ঠিক এই বিষয়টিই দেখানো হয়েছে। আগামীকালের টিউটোরিয়াল কর্নারে আমরা Ranging Market নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি এই Trending মার্কেটেও Moving Average টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ৭ দিন, ২০ দিন এবং ৬৫ দিনের Simple Moving Average (SMA) নিতে পারেন। একটু ভালোভাবে লক্ষ করুন, যখন ওপর দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে, তখন মূল্যর trending up সংগঠিত হয়। আবার ঠিক উল্টোভাবে যখন নিচের দিক থেকে ৭ দিনের SMA ২০ দিনের SMA কে অতিক্রম করে এবং ২০ দিনের SMA ৬৫ দিনের কে অতিক্রম করে, তখন মূল্যর trending down সংগঠিত হয়। চিত্রে ঠিক এই বিষয়টিই দেখানো হয়েছে। আগামীকালের টিউটোরিয়াল কর্নারে আমরা Ranging Market নিয়ে আলোচনা করব।
টিউটোরিয়াল কর্নার
TrendSpotting(পর্ব-২)
গতকালের টিউটোরিয়াল কর্নারে আমরা Trending Market বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আজ আমরা ranging নিয়ে আলোচনা করব। ranging হচ্ছে, একটি মার্কেট যখন নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বারবার ওঠানামা করে এবং রেঞ্জটির আওতা হচ্ছে মূল্যর উচ্চসীমা এবং মূল্যের নিম্নসীমা। বারবার মার্কেট এই রেঞ্জের মধ্য ওঠানামা করে বিধায় এটিকে ranging বলা হয়। চিত্রে একটু লক্ষ করলে দেখতে পাবেন, শেয়ারটির দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করে। কিন্তু সেই রেঞ্জটি ব্রেক করতে পারেনি। এ ধরনের বাজারে বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা low price লেভেলে শেয়ার ক্রয় করেন এবং high price লেভেলে বিক্রি করেন। এই ranging মার্কেটেও আপনি Stochastic এবং RSI Indicator ব্যবহার করতে পারেন। আবারও চিত্রে দেখুন, আমরা Stochastic ব্যবহার করেছি।
এই টুলটি ব্যবহার করা হয়েছে বাজারে overbought এবং oversold চিহ্নিত করার জন্য। খেয়াল করুন, যখন শেয়ারটির দাম ওপরের লেভেলটি ব্রেক করতে পারেনি, তখন দেখুন Stochastic-টিও overbought অবস্থায় ছিল। এ কারণে শেয়ারটির দাম কমে যায়। ঠিক একইভাবে নিচের দিকের লেভেলও ব্রেক করতে পারেনি এবং সেই সময় Stochastic-টিও oversold অবস্থায় ছিল। সুতরাং, আপনি কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনার Entry এবং Exit-এর সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি যখন trending অথবা ranging মার্কেটে ট্রেড করবেন, তখন আপনার ধারণা থাকা উচিত, কী পরিমাণ মুনাফা অথবা লোকসান হতে পারে। এরপর আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে tops এবং bottoms যেটিtrending ranging এবং উভয় মার্কেটের জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি এই trending এবং ranging সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখেন, তবে আপনি আপনার বিনিয়োগ-কৌশল খুব সহজেই ঠিক করতে পারবেন এবং বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক কমিয়ে আনতে পারবেন।
গতকালের টিউটোরিয়াল কর্নারে আমরা Trending Market বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আজ আমরা ranging নিয়ে আলোচনা করব। ranging হচ্ছে, একটি মার্কেট যখন নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বারবার ওঠানামা করে এবং রেঞ্জটির আওতা হচ্ছে মূল্যর উচ্চসীমা এবং মূল্যের নিম্নসীমা। বারবার মার্কেট এই রেঞ্জের মধ্য ওঠানামা করে বিধায় এটিকে ranging বলা হয়। চিত্রে একটু লক্ষ করলে দেখতে পাবেন, শেয়ারটির দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করে। কিন্তু সেই রেঞ্জটি ব্রেক করতে পারেনি। এ ধরনের বাজারে বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা low price লেভেলে শেয়ার ক্রয় করেন এবং high price লেভেলে বিক্রি করেন। এই ranging মার্কেটেও আপনি Stochastic এবং RSI Indicator ব্যবহার করতে পারেন। আবারও চিত্রে দেখুন, আমরা Stochastic ব্যবহার করেছি।
এই টুলটি ব্যবহার করা হয়েছে বাজারে overbought এবং oversold চিহ্নিত করার জন্য। খেয়াল করুন, যখন শেয়ারটির দাম ওপরের লেভেলটি ব্রেক করতে পারেনি, তখন দেখুন Stochastic-টিও overbought অবস্থায় ছিল। এ কারণে শেয়ারটির দাম কমে যায়। ঠিক একইভাবে নিচের দিকের লেভেলও ব্রেক করতে পারেনি এবং সেই সময় Stochastic-টিও oversold অবস্থায় ছিল। সুতরাং, আপনি কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনার Entry এবং Exit-এর সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি যখন trending অথবা ranging মার্কেটে ট্রেড করবেন, তখন আপনার ধারণা থাকা উচিত, কী পরিমাণ মুনাফা অথবা লোকসান হতে পারে। এরপর আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে tops এবং bottoms যেটিtrending ranging এবং উভয় মার্কেটের জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি এই trending এবং ranging সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখেন, তবে আপনি আপনার বিনিয়োগ-কৌশল খুব সহজেই ঠিক করতে পারবেন এবং বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক কমিয়ে আনতে পারবেন।
Trend Spotting (শেষ পর্ব)
আজ আমরা Trend Spotting-এর সারসংক্ষেপ এবং ট্রেন্ড চিহ্নিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। সঠিকভাবে retracements এবং reversals চিহ্নিত করতে সক্ষম হলে একজন বিনিয়োগকারী বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারেন। এখন আমরা এই retracements ও reversals সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে কিছু শর্টকাট টেকনিক শিখে নিব। প্রথমে আসা যাক retracements বিষয়ে।
১. Retracements সাধারণত একটি লম্বা সময় মূল্য-পরিবর্তনের পর সংগঠিত হয়। ২. এই retracements-টি খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য reversals হয়। ৩. Fundamental কোনো বিষয় পরিবর্তন হয় না। ৪. আপ ট্রেন্ডে সেই সময় ক্রয়চাপ থাকে এবং একটি মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী রেলি তৈরি হয় এবং ডাউন ট্রেন্ডে বিক্রয়চাপ বেশি হয় এবং মূল্য কমতে থাকে।
অন্যদিকে ১. reversals যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে। ২. একটি লম্বা সময়ের জন্য এই reversals সংগঠিত হয়ে থাকে। ৩. অনেক সময় Fundamental বিষয়গুলোও পরিবর্তন হয়ে থাকে, ফলে একটি লম্বা সময়জুড়ে reversals হয়ে থাকে। ৪. আপ ট্রেন্ডে তেমন ক্রয়চাপ পরিলক্ষিত হয় না এবং ডাউন ট্রেন্ডেও খুব কম বিক্রয়চাপ দেখা যায়। একজন বিনিয়োগকারী Fibonacci retracement ব্যবহার করে retracement লেভেলগুলো বুঝতে পারবেন। Fibonacci এর বিভিন্ন লেভেল সাধারণত support এবং resistance হিসেবে কাজ করে থাকে। শেয়ারের দাম যদি retracement এর যেকোনো লেভেল থেকে Bounce করে, তবে বুঝতে হবে সেটি হবে retracement এবং যদি Bounce না করে ব্রেক করে, তবে সেটি reversal বলে বিবেচিত হয়। আবার অনেক সময় একটি ট্রেন্ড লাইন দিয়েও reversal বুঝা যায়। যখন দেখা যায়, একটি ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে ওপরে অথবা নিচে যায়, তখন বুঝতে হবে একটি শক্তিশালী reversal ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। আপনি এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন একটি retracements এবং reversals সংকেত চিহ্নিত করার জন্য।
১. Retracements সাধারণত একটি লম্বা সময় মূল্য-পরিবর্তনের পর সংগঠিত হয়। ২. এই retracements-টি খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য reversals হয়। ৩. Fundamental কোনো বিষয় পরিবর্তন হয় না। ৪. আপ ট্রেন্ডে সেই সময় ক্রয়চাপ থাকে এবং একটি মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী রেলি তৈরি হয় এবং ডাউন ট্রেন্ডে বিক্রয়চাপ বেশি হয় এবং মূল্য কমতে থাকে।
অন্যদিকে ১. reversals যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে। ২. একটি লম্বা সময়ের জন্য এই reversals সংগঠিত হয়ে থাকে। ৩. অনেক সময় Fundamental বিষয়গুলোও পরিবর্তন হয়ে থাকে, ফলে একটি লম্বা সময়জুড়ে reversals হয়ে থাকে। ৪. আপ ট্রেন্ডে তেমন ক্রয়চাপ পরিলক্ষিত হয় না এবং ডাউন ট্রেন্ডেও খুব কম বিক্রয়চাপ দেখা যায়। একজন বিনিয়োগকারী Fibonacci retracement ব্যবহার করে retracement লেভেলগুলো বুঝতে পারবেন। Fibonacci এর বিভিন্ন লেভেল সাধারণত support এবং resistance হিসেবে কাজ করে থাকে। শেয়ারের দাম যদি retracement এর যেকোনো লেভেল থেকে Bounce করে, তবে বুঝতে হবে সেটি হবে retracement এবং যদি Bounce না করে ব্রেক করে, তবে সেটি reversal বলে বিবেচিত হয়। আবার অনেক সময় একটি ট্রেন্ড লাইন দিয়েও reversal বুঝা যায়। যখন দেখা যায়, একটি ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে ওপরে অথবা নিচে যায়, তখন বুঝতে হবে একটি শক্তিশালী reversal ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। আপনি এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন একটি retracements এবং reversals সংকেত চিহ্নিত করার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন